/কিয়দংশ সাফল্য/
‘বৈকল্য’,
স্পষ্টত পুঁজিবাদ বাসা বেঁধেছে তোমার মনের হিসেবে..
তুমি হিসেব করে দেবতা আর তোমার মধ্যে একটি চাতুর্য পূর্ণ আঁতুড়ঘর তৈরী করে রাখো….
সেখানে স্যাঁতসেঁতে ভেজা শরীর নিয়ে জন্ম নেয় অহংকারের শৈশব….
তুমি নিপাট তোমার সাথেই বিভেদের এক অদ্ভত বোঝাপড়া শেষে
নিঃশব্দে শলাকায় মুখাগ্নি করো তোমার বিবেকের শরীরে..
তারপর নিঃসংকোচে আপন হত্যার দায় ভুলে গিয়ে
নতুন ভোরের আলোয় স্বপ্ন দেখো আগামী ইতিহাসের…
নতুন মহামারী এলে পৃথিবী পরম মমতায় তার কোল পেতে দেয় মৃত সন্তানদের জন্য…
কিন্তু বিবেকের মৃত্যুর চাইতে বড় মহামারী হয়তো মহাবিশ্ব দেখেনি কোনদিন..
অথচ, কি নিদারুণ নিরাগ্রহ আজকের এই সুখী মনুষ্যত্ব..
ঠিক যেন গল্পের শেষ অংশের অসাধারণ তৃতীয় তৃপ্তি..
তোমার সেই তৃপ্তিতে মানুষের জীবনের জন্ম ও মৃত্যুর মত প্রথম ও দ্বিতীয়
তৃপ্তি নিঃশব্দে লুকিয়ে যায় বাতাসের গায়ে…
ফুলে ফলে পূর্ণতা পায় প্রিয় সময়…
আজকের সভ্যতায় কেবল নির্বোধের সমাধি ফলক হয়,
বোধের জন্য দৃশ্যত পঞ্চভূতের কোনটাই জোটে না…
কেও জিজ্ঞেস করলে উত্তর দিয়ে দিও আমার ‘মান্যবর’,
উদার মানুষের জন্য অহেতুক বিব্রতকর মাথা নত করা
শ্রেষ্ঠতম জীবনের অপচয়…
তার চাইতে এসো আমরা আমাদের জীবনের মূল্যবান উপহারের উপহাস উৎযাপন করি….
/অপেক্ষা তবুও/
একটা ধূসর কুয়াশা..
তার নাভী ভেদ করে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি,
খ্রীস্টপূর্ব সময়েরও অনেক পরে…
তুমি সকালে জানালার শুভ্র আবরণ ঠেলে দিলে..
আমি নিজের জন্য যত্ন করে গুছিয়ে রাখা,
ফসিলের পাহাড় থেকে জীবনে ফিরলাম।
খুব ইচ্ছে ছিলো রোদের উপর হেলান দিয়ে
তোমার আগোছালো পৃথিবী দেখবো তোমার চোখে চোখ রেখে…
পরিহাস নিঃশব্দে এসে ভালোবাসার বিবর্তন করে দিয়ে গেলেও,
প্রকোষ্ঠে জমিয়ে রাখা স্বপ্নটা থেকে কেন যে তোমাকে আলাদা করতে পারি না…
প্রতিটি দিন আমরা দুজনেই এক অদ্ভত সময়ের অপেক্ষা করি…
যদিও নিশ্চিত জানি,
শুধু বেঁচে থাকতে হলে দুটো মানুষের পরস্পরের সাথে অবহেলার কোন ক্ষমা হয় না..!
তবুও মানুষ সব পারে..
দিন থেকে রাত..
সবটা সহ্য করে নিতে…
আমার সেল্ফে তোমার দেয়া অচেনা চিঠি গুলো এখনো আছে..
জীবনের রাত পেরুলে ভোরের আলোয় নাহয় দুজনে একসাথে দেখবো সেদিন..
মৃত্যুঞ্জয়ের হিসেবটা ভুল ছিলো..
মানুষের বুক বলতে এখন আর মনের কথা কেও ভাবে না…
/মন রে/
এরা বোঝেনি সেদিন,
যেদিন আকাশ আগুন হলো…
একটা মন পুড়ে গিয়ে
অচেনা কিছু মনে আলো দিলো…
মনটার জন্য কেও ছিলোনা সেদিন,
শুধু একটা পাহাড় ছোটা নদী
কূল কূল বয়ে যেতো নিজের মতো…
কতোদিন হয় আকাশ দেখি না,
বৃষ্টির জন্য মুখ গুঁজে কান্না আসে না,
নিয়মের দরজা খুলে ইচ্ছেদের দুঃখ দেখিনা,
রাত জেগে অকারণ ভোরের জন্য বসে থাকি না ঘরের কোনে…
মনটার জন্য আজকাল কেমন যেন মায়া হয়,
ইচ্ছে করে বুকে নিয়ে বলি, “চলনারে মন,
এই মৃত শহরের পথ ধরে আমাদের সেই দেবদারু পাহাড়ে যেতে যেতে,
আবার দুজন গল্প করি”।