ছোট বোন রিনার ডাকাডাকি তে তিশা ধরফরিয়ে অনেক কষ্টে চোখ মেলার চেষ্টা করে কিন্তু ধরফরিয়ে ঠিকই উঠলো চোখ খুলতে পারছিল না। কাল তার বাড়ি ফিরে আসার বিপর্যয়কে পার করে আত্মবিশ্বাস স্থাপনের মধ্যে দিয়ে শান্ত গভীর ঘুমের স্তর ভেদ করে ভেতরে ঢুকতে পারলো। অনেক কষ্টে বিছানায় উঠে বসলো, চোখ মেলে তাকাবে কিভাবে? অপমানিত শরীরের প্রতিটি লোম কূপ ব্যথায় ছিঁড়ে পড়ছে।সমস্ত শরীর যেন কঠিন জেদ ধরে বসেছে,কিছুতেই তার কথা মতো চলবে না বলে। আরো একবার বালিশে এলিয়ে পরবার চেষ্টা করছিল। মায়ের কঠিন স্বর সেই আলস্যের ঘোরের মধ্যে একটা কর্কশ চড়ের মতো এসে পড়ল।তিশা, শুনলে না তোমার বাবা তোমাকে বারান্দায় ডাকছেন। ওঠো বলছি! কি রকম যেন লাগছে মায়ের কথা,ব্যবহার! এই মা-কাল রাত্রে তাকে বুকে টেনে নিয়ে ফিরে পাওয়ার আনন্দে হাপুস নয়নে কাঁদছিলেন।এ্যাক্সিডেন্টের খবরের পর তাকে জীবিত অবস্থায় সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে যেন নিজেদের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলনা। আনন্দের চোটে তাকে বাড়িতে পৌঁছে দিতে আসা হাবিলদার আর মহিলা কনস্টেবলকে একগ্লাসপানি খেতেও বলেনি বা নাম জিজ্ঞাসা করেনি। ভাইয়া, বাবা, মা, রিনা একেবারে পাগল হয়ে উঠেছিল। সেই মুহুর্তে নিজেকে এতো গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছিলো। হ্যাঁ, যাচ্ছি।চোট পাওয়া হাটুঁতে হাত বুলাতে বুলাতে সে আস্তে খাট থেকে নীচে নামে। সোজা হয়ে দাঁড়াতেই ছটফট করে উঠে পুড়ে যাওয়া জায়গাগুলোর যন্ত্রণায়। একটু অবাক হয় সে। রাতে প্রানপণে ছোটার সময় একটুও তো বোঝা যায়নি, যে হাঁঠুতে এত ব্যথা লেগেছে। বড় বোনের কষ্ট দূরে দাঁড়িয়ে রিনা দেখছে নিতান্তই দর্শকের মতো।তিশার একবার ইচ্ছে হচ্ছিল বেসিনের কাছে গিয়ে চোখে মুখে একটু পানির ঝাপটা দেই। কিন্তু মায়ের গলার স্বরে আদেশের সঙ্গে এমন এক রুক্ষতার সুর ছিল, যা তাকে শিকলের মতো বেঁধে বারান্দার দিকে টেনে নিয়ে গেলো।দেওয়ালে হেলান দিয়ে বসে আছেন,সামনে খবরের কাগজ টা খোলা। সবাই খবরের কাগজ ঘিরে বসে আছে। এই সাত সকালে নিজেদের কাজকর্ম ফেলে এভাবে বসে থাকা দেখে ভিতরে ভিতরে তিশা ঘাবড়ে গেল। নিশ্চয় কোথাও কোন অঘটন ঘটেছে। বাবার লাল হয়ে ওঠা মুখ, ভাইয়ার কুঞ্চিত ভ্রু যুগল দৃশ্যত তার আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলল। বাবার চাপা গর্জনের মতো গলার আওয়াজ তার গায়ে এসে প্রায় ধাক্কা দিয়ে চলে গেল।এসে গেছেন বীরাঙ্গনা?‘নিন আজকের কাগজটা দেখে নিন।সামনে রাখা কাগজের পৃষ্ঠাটা ভাঁজ করে তার দিকে দিতে দিতে আবার গর্জন —ওপরে ডান দিকের খবরটি দেখো….খবর টি দেখে সে সপ্রশ্ন দৃষ্টিতে বাবার দিকে তাকায় ।‘সাহসী মেয়ের শৌর্য গাথা’, এটা?তিশা খবর টি আবার পড়ে।
২৩শে সেপ্টেম্বর কাল সন্ধ্যায় সাভার থেকে আসা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএ অনার্সের শেষ বর্ষের ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফেরার পথে সাভার থেকে কিছু দূরে এক নির্জন জায়গায় ট্যাক্সিচালকের লালসার শিকার হয়। সাহসী তিশা প্রশংসনীয় বীরত্বের সঙ্গে ট্যাক্সিচালকের মুখোমুখি হয়। কোন রকম ভাবে লোকটির হাত থেকে পালিয়ে বাঁচতে পারে। শুধু তাই নয়, সেই বিধ্বস্ত অবস্থায় মেয়েটি নিকটস্থ থানায় পৌঁছে ট্যাক্সি চালকের নামে এফ আই আর করায়। পুলিশ ট্যাক্সিচালককে খুঁজেছে। তিশা কে পুলিশ তার বাড়িতে নিরাপদে পৌঁছে দিয়েছে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীটির ভূয়শী প্রশংসা করেন, তিনিবলেন, সমস্ত মেয়েদের এই মেয়েটির মতো সাহস থাকা উচিত। পড়তে পড়তে তিশার আত্মবিশ্বাসে মন ভরে যায়। রাতে ওসি তার সামনে কত প্রশংসা করছিলেন। চলে যাবার সময় আশ্বাস দিয়ে বললেন, ‘সত্যিই বাহাদুর মেয়ে। তুমি যদি একা ওই শয়তানের সাথে লড়াই করে জিততে পারো তাহলে আমরা এতোজন মিলে কি ওকে খুঁজে বের করতে পারবো না? ওর কুকর্মের শাস্তি ওকে পেতে হবে।তিশা জানতে চাইছিল এই সংবাদ টা পড়ে খুশি হবার বদলে আপনারা সবাই কেন এতো গম্ভীর হয়ে উঠেছেন! মুখ খোলার আগেই বৈঠকখানায় টেলিফোনটা বেজে উঠল। নিশ্চয়ই পাশের বাসার ভাবী ফোন দিয়েছে–বলে, মা উঠে ফোনের দিকে এগিয়ে গিয়ে ফোন ধরতে চেষ্টা করে। তখন আমার দাদা প্রায় জোর করেই রিসিভারটা মায়ের হাত থেকে কেড়ে নিলেন। কে? ও প্রতিবেশী ভাই _হ্যাঁ বলুন কী বললেন _আজকের নিউজ?ও হ্যাঁ হ্যাঁআমি ও আপনার মতো চিন্তিত হয়ে পরেছিলাম! আমাদের মেয়ে নয়। একই নামে অনেক মেয়ে আছে। তিশা তো মানিকগঞ্জ খালার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছে।
ইউনিভার্সিটি তে খোঁজ নিয়ে দেখুন সাহেব,কত তিশা থাকতে পারে।হ্যাঁ যা বলেছেন, দিনকাল মোটেই ভাল নয় যতই লেখাপড়া করান না কেন….সে তো বটেই… ঠিকই। মেয়েটি খুব সাহসী… জী…সে তো বটেই । রিসিভার যথা স্থানে রাখার পর বাবার মুখটা যেন আরো গম্ভীর হয়ে গেল। দেখে মনে হচ্ছিল খুব গভীর সমস্যায় পরেছেন। যার সমাধান করার জন্যে চেষ্টা করে চলেছেন।শোনো কথাটা মায়ের উদ্দেশ্যে হলেও, অন্য সকলকে নিজের আশেপাশে দাঁড়ানো দেখে ক্ষুব্ধ, বিরক্ত কণ্ঠে খানিকটা যেন ধমক দেবার ভঙ্গিতেই বলেন,শুনলে তো? প্রতিটি ঘরে ঘরে আমার মেয়ের সাহসিকতার জন্য আলোচনা চলছে। এখন তো পাশের বাড়ির ফোন এলো। এবার দেখতে থাকবে সারাদিন এই রকম ক্রিং ক্রিং চলতেই থাকবে। লোকে মেয়ের কীর্তি যেচে শোনাবে। সমবেদনা জানানোর ছুতোয় বাড়িতে এসে কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দেবে। আত্মীয় স্বজনের কাছে আর মুখ দেখাবার উপায় থাকল না আমার। খাবার টেবিলে বসা ভাইয়া শঙ্কিতভাবে বাবার দিকে তাকিয়ে বলে, ধানমন্ডিতে খবরটা নিশ্চয় ওদের কাছে পৌঁছে যাবে হয়তো…।বাবা বললেন ‘হ্যাঁ, ওরা চাইলে ওদের মেয়ের সম্বন্ধ তোমার সঙ্গে ভেঙ্গে দিতে পারে। ওর শ্বশুর বাড়ীর লোকগুলো চতুর। মার স্বরে বিতৃষ্ণা। ওর শ্বশুর বাড়ীকে গালমন্দ না করে এখন যা বলছি শোনো। আত্মীয় স্বজন বন্ধু যার ফোনই হোক না কেন অথবা প্রতিবেশী বাড়িতে চলে এলেন দরদ দেখাতে একেবারে সটান অস্বীকার করবে বুঝেছ? সোজা বলে দেবে আমাদের মেয়ে নয়। অস্বীকার করবে? চোখে অন্ধকার দেখছে ও। এ কোন বাবা? এই অপরিচিত লোকটিকে সে আগে কখনো দেখেনি। ওর সত্যভাষী বাবার ভিতরে কোথায় লুকিয়ে ছিলো নিঃসঙ্কোচে মিথ্যা বলে নিজেদের মান মর্যাদা বাঁচিয়ে রাখার প্রয়াসী এই ভিতু লোকটা।বাবাই বলতেন মেয়েরা বার্ধক্যসময়ের লাঠি। মাকে যিনি অহরহ বলে যেতেন, মেয়েদের বিয়েতে আমি একটাই যৌতুক দিবো, সেটা হলো শিক্ষা। শিক্ষাই ওদের আত্মনির্ভর করে তুলবে। ভাল মন্দ বিচার করতে শেখাবে। আমরা তো আর সারা জীবন ওদের সাথে থাকব না। ওদেরকে রক্ষা করার জন্য। ওর ভিতরআত্মমর্যাদার যোগান কে দিয়েছে এই বাবা ছাড়া? আজ এই ভাবে কি কোন সত্যকে মিথ্যা বলা যায়? কেন বাবা পারছেন না নিজের দুমুখো চরিত্র ছেড়ে সোজাসুজি বলতে যে, খবরের কাগজের তিশা খান আর কেউ নয়, সেআমার মেয়ে। আমার সাহসী কন্যা।অন্যান্য সবাই কে বুঝিয়ে দাও….কাকপক্ষীটিও যেন টের না পায়।হাঁটুর ব্যাথা ক্রমেই অসহ্য হয়ে উঠছে। সারা বাড়ির ব্যাপার স্যাপার দেখে তিশা থ’হয়ে গেছে। রিনা কে সাফ জানিয়ে দিল পাড়ায় পাড়ায় ঘুরাঘুরি আজ থেকে তোমার বন্ধ। স্কুল,আর স্কুল থেকে সোজা বাড়ি,বুঝেছ?তিশার ইচ্ছে হচ্ছিল নিজের ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়তে।ঘুমানো দরকার ছিল। ঘরের দিকে এগিয়ে যেতেই বাবার গম্ভীর গলা শুনতে পেল —তিশা তুমি ধরে নাও বাড়িতে এসে পৌঁছাওনি। দরজা বন্ধ করে নিজের ঘরে থাকবে। বিতৃষ্ণায় ভরে উঠল মন। মায়ের বিলাপ করা মুখ ভেসে আসে _সেই রাতে মুখে কেউ খাবার নিতে পারছিলনা। ওর চোখের জলে আবেগ উথলে উঠছিল, বাবা পুলিশ অফিসারদের বিদায় দিয়ে ফিরে এসে মেয়ের দিকে তাকিয়েছিলেন। ততক্ষণে তিনি জেনে গেছেন নিজের মেয়ে কী সাংঘাতিক বিপদের সম্মুখীন হয়েও মাথা ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করছে ।মহিলা অফিসারের মুখ থেকে মেয়ের বিষয়ে প্রশংসা শুনে গর্বিত হয়েছিলো বাবা। আর সেই বাবাই কিনা সকালে ওর কথা পড়ে হঠাৎ এতখানি উত্তেজিত হয়ে পড়লেন। কী ছিল খবরের কাগজের শব্দগুলোর মধ্যে! ব্যক্তিগত আক্রমণ নাকি নিছক অপবাদের ভয়!
লোকজন ফোন করছে, এর মধ্যে লুকোবার কি আছে? খবরের কাগজে যখন একবার বেরিয়ে গেছে তখন শেষটায় কি চাপা থাকবে। বাবা প্রায় জোরে জোরে বলতে লাগলো দেখুন প্রগতিশীলতা বা আধুনিকতার পাঠ আমাকে পড়াবেন না….. ব্যস, আর একটি কথাও আমি আপনাদের সঙ্গে বলব না।বাবা ফোনটা ঘটাং করে রেখে দিলেন।মনে হল যেন তার হাতে রিসিভার নয় হাতুড়ি ছিল। সাংবাদিকের মাথায় নিজেরসমস্ত শক্তি দিয়ে ঘা দিলেন। পর মূহুর্তেবলে উঠলেন…. রিনা ফোনের প্লাগটাখুলে রাখ…. শুনতে পেলি?বাবার গলার আক্রমণাত্মক স্বরে ভীতহয়ে রিনা দৌড়ে এলো। মা এগিয়ে এসে বললেন….থাক.. তোর বাবার মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বাবার দিকে ফিরে বললেন, ‘এতো ছেলেমানুষী করছো কেন? আমাদের জন্য কোন খাবার দেওয়া হয়েছে মা? বাবা আর ভাইয়া বসে পরেছে, রিনা চেঁচিয়ে বলে।ওদের বল খেয়ে নিতে….আর শোন’, মার স্বর আবারো খাদে। ‘রান্নাঘরের চুলার পাশে এক বাটি টোটকা ভেজানো আছে তোর বোনের জন্য মগে ঢেলে নিয়ে আয়। তিশা আয়, এটা খেয়ে নে। এটা খেলে মাসিক বন্ধ হবে না…খেয়ে নে চট করে।
রুদ্ধবাক হয়ে ও মায়ের দিকে তাকিয়ে রইল।দেখছিস কি? খেয়ে নে তাড়াতাড়ি…বিষ তো আর খাওয়াচ্ছি না।
মায়ের ধৈর্যের মুখোস সরে যাচ্ছে ধীরে ধীরে।_বিষ ই খাইয়ে দিতে এর চেয়ে!_তিশা…
_তুমি জিজ্ঞেস করেছো আমাকে?
_হাতে পেলে কি আর কোন ও পুরুষ ছেড়ে দেয় না কি?
—হাতে পেলে তো! তোমাকে মিথ্যা কথা বলছি কখনো?
—এখন এটা খেয়ে নে, খারাপ কিছু নয়। নানা রকম ছবি বুটের সেদ্ধ করা পানি।
—তার মানে তুমি আমাকে বিশ্বাস করতে পারছো না ?
—তুই এখন চুপচাপ খেয়ে নে তো।
—না বলে বসে পরলো।
—তোকে আমি খাইয়ে ছাড়বো। এই বলে মা এক হাতে চুলের মুঠি ধরে অন্য হাতে মগ চেপে ধরল ওর মুখের কাছে।
নিজের সমস্ত শক্তি একত্রিত করে মা কে ঠেলে দিল।সবুজ রঙের জড়িবুটির পানি মেঝেতে ছড়িয়ে পড়ল।
ক্রুদ্ধ বাঘিনীর মতো মা খেপে উঠলেন।
হিংস্রভাবে এলোপাতাড়ি চড় থাপ্পড় চলতে থাকলো ওর উপর। মেরেই যাচ্ছেন। রিনা এসে থামালো।
অলক্ষুণে মেয়ে কোথাকার, মরলি না কেন?
না, ওদের হাতে আত্মসমর্পণ করার থেকে আত্মহত্যা করা অনেক শান্তি।
সারা বাড়ির লোক গভীর ঘুমে। ঘরের ছিটকিনি মেরে দিলো তিশা….
মায়ের একটা লাইলন শাড়ি দিয়ে ফাস বানিয়ে নিল। মুক্তির একটা শেষ রাস্তা,কিছু লিখে মরবে না। ওরামরার পর ওদের ইচ্ছা মতো মানুষের কাছে নিজেদের মান মর্যাদা বাঁচিয়ে রাখার জন্য ওরা যা পারুক লিখুক।মোড়ার উপর উঠে দাঁড়াল, ফাঁসটা নিজের গলায় পড়তে গিয়ে ‘সান্ধ্য টাইমস এর অদেখা লেখা গুলো মনে পড়ে গেল। কাল সকাল দশটায়জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা পুলিশের মুখ্য কার্যালয়ের সামনে তিশা খানের শ্লীলতাহানির জন্য ট্যাক্সিচালকের শাস্তির দাবী নিয়ে শান্তিপূর্ন ভাবে বিক্ষোভ মিছিল মিটিং করবে। কাল ওরাই যখন তার আত্মহত্যার খবর কাগজে পড়বে তখন নিজেরা অসহায় ও অপমানিতবোধ করবে। ভাববে একজন নিতান্তইভীতু ও দূর্বল মেয়ের জন্য ওরা লড়ছিলো, যে লড়াই শুরুর আগেই ওদের হাড়িয়ে দেয়। গলার থেকে ফাঁসটা টান দিয়ে খুলে ফেলে দেয় নিশ্চিত ভাবে খাটে গিয়ে শুয়ে পড়লো।কাল সকালে পুলিশের মুখ্য কার্যালয়েরসামনে ও থাকবেই ওর বন্ধুদের সাথে,নিজের প্রজন্মের সাথে। মন ঠিক করার পর প্রচন্ড ঘুম পেল।ঘুমের রাজ্যে তলিয়ে যেতে যেতে ভাবলো কী আশ্চর্য !এদের এই সব ভীতু পাগলামি গত তিন দিন ধরে ও মেনে নিয়েছিল কিভাবে?