বৈঠক ১: যাত্রা হলো শুরু :: ইশরাত তানিয়া

বৈঠক ১: যাত্রা হলো শুরু :: ইশরাত তানিয়া

তখন লাল-সাদায় উৎসব মুখরিত চারপাশ। জানলার ওপাশে দুপুর বিকেলের পথে হাঁটছে। গোলাপ আর রজনীগন্ধায় মনমুগ্ধকর সুবেশী হয়েছে সভাকক্ষ। সম্মানিত অতিথিরা আসছেন একে একে। তাঁদের আগমনে ভরপুর হয়ে উঠছে কালির উঠোন। আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে গানের সুর ভাসছে বাতাসে। ৬ জুলাই, ২০১৯ ইএমকে সেন্টারে অনুষ্ঠিত হলো কালি সাহিত্য সংগঠনের প্রথম বৈঠক। একুশে পদকে ভূষিত কথাসাহিত্যিক রিজিয়া রহমান এবং কথসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হককে সম্মাননা জানানোর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করল কালি।

কথাসাহিত্যিক পাপড়ি রহমানের সহজাত সঞ্চালনায় পরিচালিত হলো কালির প্রথম আয়োজন।  বৈঠকের শুরুতেই সমবেত সঙ্গীতে সত্য ও সুন্দরকে আহ্বান জানালেন কালির সদস্যরা। আনোয়ারা সৈয়দ হককে উত্তরীয় পরিয়ে সম্মানিত করলেন কালির প্রতিষ্ঠাতা কথা সাহিত্যিক পাপড়ি রহমান। ‘কৃতিমাল্য’ পরিয়ে দিলেন ইশরাত তানিয়া। পাপড়ি রহমান মনে করেন, এ মালা বরমাল্য বা কনেমাল্য নয়। এই ফুলের মালা গুণীজনের জন্য কৃতিমাল্য। আনোয়ারা সৈয়দ হকের হাতে শাড়ি তুলে দিলেন সুলতানা ফিরদৌসী। বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী মাসুক হেলালের আঁকা পোর্ট্রেট দিলেন মালেকা ফেরদৌস। রিজিয়া রহমানের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল না থাকায় তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি। তার পক্ষ থেকে সম্মাননা গ্রহন করেন লেখক, সাংবাদিক এবং গবেষক দিল মনোয়ারা মনু। রিজিয়া আপার পক্ষ থেকে সম্মাননা গ্রহণ করার সময়, প্রিয় লেখক সম্পর্কে বলতে গিয়ে  তিনি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। তিনি বলেন- রিজিয়া রহমান শুধু একজন বড় লেখক নন, তিনি বিশাল মনের একজন ভালো মানুষ।

অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কথাসাহিত্যিক আফরোজা পারভীন এবং কথাসাহিত্যিক মোজাফফর হোসেন। রিজিয়া রহমানের উপন্যাস ‘বং থেকে বাংলা’র কিছু অংশ পাঠ করেন আফরোজা আকতার টিনা। আনোয়ারা সৈয়দ হকের কবিতা ‘আমার শয্যায় এক বালিশ-সতীন’ এবং ‘আমার পুরুষটিকে তোমরা কি কেউ দেখেছ?’ আবৃত্তি করেন লায়লা মুন্নী।

কথাসাহিত্যিক আফরোজা পারভীন বলেন কৈশোর থেকেই তিনি রিজিয়া রহমানের মেধা, প্রজ্ঞা, ইতিহাস চেতনা,  নৃতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ, মানুষের জীবনের পাঠ, লক্ষ্যভেদী দৃষ্টি আর অতলস্পর্শী গভীরতার কাছে নতজানু। রিজিয়া রহমান বলেছিলেন- বড় মানুষ না হলে বড় লেখক হওয়া যায় না। এ কথার প্রমাণ তিনি নিজেই। তিনি জন্মেছেন কলকাতার ভবানীপুরে ১৯৩৯ সালে। শিক্ষা জীবনে নানান টানা পড়েনের পর অর্থনীতিতে মাস্টার্স করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তার প্রথম গল্পগ্রন্থ  অগ্নিঅক্ষরা। প্রথম উপন্যাস ঘর ভাঙা ঘর।

রক্তের অক্ষর উপন্যাস সম্পর্কে তিনি বলেন। বারবনিতাদের দুঃখ-দুর্দশা, ক্লেদ, হতাশা আর অনিশ্চয়তা আর অনিরাপত্তা নিয়ে লিখলেন রিজিয়া রহমান। রক্তের অক্ষর ইংরেজিতে অনুবাদ করা হয়েছে। ‘লেটার অফ ব্লাড’ ভারত, কেনাডা এবং নিউইয়র্ক থেকে। সর্বাধিক আলোচিত উপন্যাস  ‘বং থেকে বাংলা’। এ উপন্যাস বাঙ্গালী জাতি সত্তা গঠনের ইতিহাস, বাংলা ভাষা বিবর্তনের   ইতিহাস। আড়াই হাজার বছর আগের বং সম্প্রদায় থেকে শুরু হয়ে ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত এ  উপন্যাসের বিস্তৃতি।  রিজিয়া রহমানের সৃষ্টিশীলতায় কতটা সূক্ষ্ম সেটা বোঝা যায় উপন্যাসের দুটি  প্রধান চরিত্রের নাম দেখে। বং এবং এলা। জুড়ে দিলে যেটা হয়ে যায় বাংলা। বহুধা বিস্তৃত, বহুমাত্রিক লেখা লিখেছেন রিজিয়া রহমান। বস্তিবাসীদের জীবন নিয়ে লিখেছেন ঘর ভাঙা ঘর, বালুচিস্তানের স্বাধীনতাকামী মানুষদের নিয়ে লিখেছেন শিরায় শিরায় আগুন, সাঁওতালদের নিয়ে লিখেছেন একাল  চিরকাল। অন্ত্যজ মানুষেরাই রিজিয়া রহমানের লেখার মূল উপজীব্য।

কম আলোচিত উপন্যাসগুলো নিয়ে আফরোজা পারভীন আলোচনা করেন। ‘অলিখিত উপাখ্যান’ উপন্যাসে রিজিয়া রহমান ইংরেজ আমলের ক্রমবিপ্লবের কথা বলেছেন। তাঁর ইতিহাস আশ্রয়ী লেখাগুলো জানায় কৃষক বিদ্রোহের কথা, আঞ্চলিক নেতাদের কথা। এই ক্রমবিপ্লবের পথ ধরেই কিন্তু উপমহাদেশে ব্রিটিশ শাসনের পতন তরান্বিত হয়েছে। ‘আলবুর্জের বাজ’ রিজিয়া রহমানের একটি অসম্ভব রকমের দুঃসাহসী উপন্যাস। উপন্যাসের সময়কাল দশম শতক থেকে এগার শতকের মাঝামাঝি। স্থান উত্তর ইরান। ইসমাইলিয়া সম্প্রদায়কে নিয়ে লেখা এই উপন্যাস সম্পর্কে রিজিয়া রহমান বলেছেন, তিনি অনুপ্রাণিত হয়েছেন মার্কো পোলোর অ্যাডভেঞ্চার পড়ে। মার্কো পোলো যখন সিল্ক রুট ধরে চীনে যাচ্ছিলেন তখন তিনি অনেক দূর থেকে আলআমুর দূর্গ দেখেছিলেন। সেখান থেকে রিজিয়া রহমানের মনে এই উপন্যাস লেখার চিন্তা আসে।

‘আবে-রওয়াঁ’ উপন্যাস নিয়ে আফরোজা পারভীন বলেন আবে-রওয়াঁ শব্দের অর্থ বহমান জল।  ঢাকা শহরে মসলিন বিস্তারের আখ্যান নিয়ে এ উপন্যাস। বল্লাল সেন থেকে শায়েস্তা খানের আমল পর্যন্ত ঢাকা’র গড়ে ওঠার ইতিহাস। কাটুনি সকিনার মসলিন বুনন, তার স্বপ্নের মীনাবাজারের উপন্যাসে পরীবিবি, শায়েস্তা খান, আযম খানের চরিত্র এসেছে প্রাসঙ্গিকভাবে। নারীদের ক্ষমতায়নের উপন্যাস ‘পবিত্র নারীরা’। দক্ষিন এশিয়ার দুর্গম এলাকায় থাকত একদল নারী-পুরুষ। শিঞ্জিনা নামের এক নারী ছিল গোত্রপ্রধান। শীত বাড়লে দক্ষিণে যাত্রা শুরু করল। পথে ঘোড়সাওয়ারদের কবলে পড়ে নারীরা ধর্ষিত হলো, যুদ্ধে পরাজিত হলো। শিঞ্জিনার মৃতদেহ যখন  উঁচু পাহাড় থেকে ফেলে দেয়া হলো, তার হাতের বল্লমটা খাড়া হয়ে ছিল। সে বল্লমের ওপর ক্রমশ তুষার পড়তে পড়তে বল্লমটি ঢেকে গেল। রিজিয়া রহমান এঁকে দিলেন নারী ক্ষমতাচ্যুত হবার করুণ দৃশ্য।

কথাসাহিত্যিক মোজাফফর হোসেন আলোচনা করেন আনোয়ারা সৈয়দ হকের কথাসাহিত্য বিষয়ে। যশোরের চুড়িপট্টির ছোট মেয়েটি একদিন ল্যু সালোমের জীবন দর্শন নিয়ে লিখবেন কে ভেবেছিল? তিনি লিখলেন নারীর জন্য প্রয়োজন অবিমিশ্র স্বাধীনতা, জ্ঞান অন্বেষণে নারীর পূর্ণ অধিকার প্রতিষ্ঠা।

 

আনোয়ারা সৈয়দ হককে বহুমাত্রিক লেখক উল্লেখ করে মোজাফফর হোসেন বলেন- প্রায় শতাধিক বইয়ে লিখেছেন গল্প, উপন্যাস, আত্মজীবনী, ভ্রমন, প্রবন্ধ, নিবন্ধ, কবিতা, শিশুসাহিত্য। মুক্তিযুদ্ধের সাহিত্য, নারী সাহিত্য, মনস্তাত্ত্বিক সাহিত্য ইত্যাদি জনরাঁ ভিত্তিক সাহিত্যে তাঁকে আমরা পাঠ করতে পারি। প্রধানত তিনি উপন্যাসিক। প্রথম উপন্যাস ‘তৃষিতা’তেই বোঝা যায় তার গদ্য সরস  ও সুখপাঠ্য। এটি প্রকাশিত হয় ১৯৬৮ সালে। ‘সোনার হরিণ’ এবং ‘নিঃশব্দতার ভাঙচুর’ তার গুরুত্বপূর্ণ উপন্যাস। ‘ব্যবহৃতা’ উপন্যাসটিকে আনোয়ারা হক নিজেই বলেছেন সমীক্ষা উপন্যাস। রাজধানীর যৌনপেশায় নিয়োজিত নারীদের নিয়ে তিনি গবেষণামূলক উপন্যাস লিখেছেন। নখ, দুই রমনী, তারাবাজি, আহত জীবন, ঘুম, খাদ, কার্নিশে ঝুলন্ত গোলাপ ইত্যাদি তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাস।

শতাধিক গল্প তিনি লিখেছেন। প্রথম গল্প ‘পরিবর্তন’ প্রকাশিত হয় ১৯৫৪ সালে। পঞ্চাশ থেকে ষাটের দশকে বাংলাদেশের ছোট গল্পে পালা বদল ঘটে। বাংলাদেশের জন্ম এবং জাতিরাষ্ট্র হিসেবে উত্থানে গল্পকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা ছাড়াও তিনি অতিরিক্ত একটি দায়িত্ব পালন করেছেন। সাহসী ভাষ্যে নির্যাতিত নিপিড়ীত নারীদের কথা লিখেছেন। তার সাহিত্যে নারী চরিত্রগুলো সব সময় মুখ্য না হলেও সচেতন নির্মান। শিশু কিশোরদের জন্য লিখেছেন দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে। মানবিক বিষয়গুলো শিশুদের বোঝার মতো ভাষায় তিনি লিখেছেন। স্বদেশ চেতনা, দেশপ্রেম, প্রকৃতি ও পরিবেশকে তুলে ধরেছেন। ‘এখন তুমি বড় হচ্ছো’ ধরণের বই বাংলা ভাষায় তেমন নেই।

ভ্রমণ সাহিত্যে ইতিহাস নির্ভর না হয়ে ঘটনার অন্তরালে চলে যান। কলাম সমদ্র বেরিয়েছে দুই খন্ডে। আত্মজীবনী মূলক গ্রন্থ আছে চারটি। ‘নরক ও ফুলের কাহিনী’ বইটি তৎকালীন বাংলাদেশের সামাজিক-ঐতিহাসিক জেন্ডার বিষয়ক অধ্যয়নের একটি গুরুত্বপূর্ন  অংশ হতে পারে। আনোয়ারা সৈয়দ হক হালকা কোনো বিশোয়ে তার উপন্যাস লেখেননি। ঝরঝরে গদ্যে তার প্রকাশভঙ্গী নির্মোহ। নতুন বিষয় নিয়ে লিখতে গিয়ে তিনি ভাষা নির্মান করেছেন।

আলোচনা পর্ব শেষ হবার পর আনোয়ারা সৈয়দ হক বলেন, মানুষের অতৃপ্তিই ‘জীবন’। অতৃপ্তই আমাদের অনগোয়িং ফোর্স। অতৃপ্তিই লেখায়। রসিকতা করে তিনি বলেন, আজ সব্যসাচী বেঁচে থাকলে, এ অনুষ্ঠানে এলে খুব হিংসা করতেন। কত পদক, পদবী, স্মারক, সম্মাননা তিনি পেয়েছেন কিন্তু এমন বিশাল ফুলের মালা পরার সৌভাগ্য তাঁর হয় নাই। রিজিয়া আপাকে পুরো অনুষ্ঠানে তিনি মিস করেছেন। তিনি  বাবা মায়ের অনুশাসন এবং দিকনির্দেশনা না পেলে এতদূর আসতে পারতেন না। ভাগ্যক্রমে দেখা হয়েছিল এক লেখকের সাথে এতে তাঁর চলার পথে মসৃণতা এসেছে। অধীত বিদ্যা, পরিশ্রম, অধ্যবসায় আমায়। সব্যসাচীর সাথে সাহিত্য নিয়ে আলোচনা তেমন হয়নি। এর কারণ ব্যস্ততা আর সময়ের স্বল্পতা। তিনি আনোয়ারা হককে বলতেন- তুমি ভালো লেখো। পড়তে থাকো, লিখতে থাকো।

তাঁর জীবন এক ঝটিকা সফর। পৃথিবীটাকে সফর করে গেলেন। সব্যসাচী শেষ চার মাস যখন বিছানায়, সেটি আনোয়ারা সৈয়দ হকের জীবনে এক সুখের সময়। কারণ, যতই কেঁদেছেন, ছুটোছুটি করেছেন দুজন দুজনের কাছেই ছিলেন। সেই সময় আনোয়ারা সৈয়দ হক আজও ভুলতে পারেন না। অনুজ লেখকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তোমাদের স্বপ্ন আছে, আশা আছে। মেয়েদের লেখক হতে হলে অনেক, অনেক সাহসী হতে হয়। পরিবার অনেক কথা বলে। দায়িত্ব পালন করা হচ্ছে না বলে কথা শুনতে হয়। পরিবারকে টাকা দিতে না পারলে কথা শুনতে হয়। এতে কিচ্ছু এসে যায় না। তোমার যে মোক্ষম লক্ষ্য সেই টার্গেট যদি হিট করতে পারো তবে জীবনের শেষে মনে হবে- জীবনে যা করতে চেয়েছি, সেটা করতে পেরেছি। সবাইকে শুভেচ্ছা আর ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বক্তব্য শেষ করেন।

প্রশ্ন উত্তর পর্বে আনোয়ারা সৈয়দ হককে প্রশ্ন করেন লেখক এবং সংগঠক মালেকা বেগম। ‘ব্যবহৃতা’ এবং ‘রক্তের অক্ষর’ প্রসঙ্গে তিনি প্রশ্ন করেন, যে নারীরা পতিতা তাঁদের কথা আমরা লিখি কিন্তু যে পুরুষরা পতিতালয়ে যায় তাদের নিয়ে কেন আমরা লিখি না? কেন পুরুষদের মুখোশ উন্মোচন করি না? উত্তরে আনোয়ারা সৈয়দ হক বলেন, নারীদের কথাই আমরা লিখব। নারীকে নির্যাতন করছে পুরুষ। পুরুষ পতিতালয়ে যাচ্ছে। পুরুষ লেখকদের এইসব লেখা উচিত। যেদিন পুরুষ লেখক পুরুষদের বিরুদ্ধে লিখবেন সেদিন বোঝা যাবে পুরুষদের দৃষ্টিভঙ্গী উদার হয়েছে। কথাসাহিত্যিক মনি হায়দারসহ আরও অনেকে তাঁকে প্রশ্ন করেন। আনোয়ারা সৈয়দ হকের সরস উত্তরে বেশ প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে অনুষ্ঠান। চা-পর্ব ও ছবি তোলা শেষে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করেন পাপড়ি রহমান।

রাতেই রিজিয়া রহমানের বাসায় সন্মাননা স্মারকসহ বাকি উপহার পৌঁছে দেয়া হয়। আন্তরিকভাবে তিনি সম্মাননা গ্রহণ করেন এবং একান্ত ইচ্ছে থাকা সত্বেও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি বলে দুঃখ প্রকাশ করেন। স্ট্রোকের আঘাত এখনও সামলে উঠতে পারেননি। তবু মৃদু স্বরে সাহিত্য নিয়ে বিভিন্ন কথা বললেন। কালি’র জন্য শুভ কামনা জানালেন।

বাংলা সাহিত্যের দুজন প্রবল সত্তা রিজিয়া রহমান এবং আনোয়ারা সৈয়দ হককে সম্মান জানিয়ে কালি যাত্রা শুরু করল। আঁধার পেরিয়ে শত প্রতিকূলতা আর কাঁটার আঘাত সহ্য করে কালি এগিয়ে যাবে এই প্রত্যাশা। সবার ভালোবাসা আর শুভ কামনায় কালি সমৃদ্ধ হোক। পাপড়ি রহমানের যোগ্য নেতৃত্ব ও দূরদর্শিতায় কালি সমাজ ও সাহিত্যের এক উল্লেখযোগ্য প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠুক।

Leave a Reply